ভারতের সংবিধান, আইন ও শাসব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু তথ্য | Part - 2

1. নির্দেশমূলক নীতি :

ভারতের সংবিধানের 36 থেকে 51 নম্বর ধারার মধ্যে রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দেশমূলক নীতি সন্নি বিষ্ট হয়েছে, নীতিগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়, 1976 সালের 42 তম সংশোধনীর মাধ্যমে চাকরির নতুন নিশি যোগ হওয়ায় বর্তমানে কতটি নির্দেশমূলক নীতি রয়েছে।

এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গুলি হল -

1. 40 নং ধারায় বলা হয়েছে পঞ্চায়েত রাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।

2. 44 নং ধারায় বলা হয়েছে সারা ভারতে একই পৌর আইন চালু।

3. 50 নং ধারায় শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে পৃথকীকরণের কথা বলা হয়েছে।

4. নং ধারায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও সৌভাতৃত নীতির ভিত্তিতে ভারত পরিচালিত হবে।

2. ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্ক :

ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তপশিলি জাতির তিনটি তালিকা র (কেন্দ্র তালিকা, রাজ্য তালিকা, যুগ্ম তালিকা) মাধ্যমে কেন্দ্র রাজ্যের আইন বিভাগের ক্ষমতা বর্ণনা করা হয়েছে।

3. গাণিতিক বিচারে কেন্দ্রীয় তালিকায় 100 টি বিষয় আছে। প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, ডাক, রেল, লোক গণনা ইত্যাদি।

4. গাণিতিক বিচারের রাজ্য তালিকায় 61 টি বিষয় আছে। পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা, ভূমি, জন স্বাস্থ্য, কৃষি, পূর্ত, বিবাহ, দেওয়ানী ফৌজদারি আইন, বিদ্যুৎ, সংবাদপত্র, শিক্ষা, শ্রমিক, বন জঙ্গল।

5. গাণিতিক বিচারে যুগ্ম তালিকায় 52 টি বিষয় আছে।

6. অবশিষ্ট বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেন্দ্রকে দেয়া হয়েছে। রাজ্য তালিকাভুক্ত বিষয়ে কখন পার্লামেন্ট আইন করতে পারবে।

7. 249 নং ধারা অনুযায়ী রাজ্যসভা উপস্থিত ও ফোর দানকারী সদস্যের ⅔ অংশ সমর্থনের প্রস্তাব গ্রহণ করলে।

8. রাজ্যের আইনসভার ⅔ অংশের অনুরোধে। (252 নং ধারা)

9. সংবিধানের 256 থেকে 263 ধারার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার গুলির মধ্যে প্রশাসনিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

10. ভারতে কেন্দ্র ও রাজ্য গুলির রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা কে দুটি তালিকার মাধ্যমে বন্ধুত্ব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তালিকায় 13 টি বিষয় আছে রাজ্য তালিকায় 19 টি বিষয় আছে। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে ধার্য করার ক্ষমতা কেন্দ্রকে দেয়া হয়েছে।