Virus Information | ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য

 ভাইরাস (Virus) সূচনা (Introduction) ভাইরাস (virus) একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ ‘বিষ’ (poison)… Read More »

Virus Information | ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য
Virus Information | ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য
 ভাইরাস (Virus)

সূচনা (Introduction)

ভাইরাস (virus) একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ ‘বিষ’ (poison)। ভাইরাস একপ্রকার জীবকণা যা কেবল সঙ্গীর কোশেই নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করতে পারে। সজীব কোশের বাইরে এরা জড়ের মতো আচরণ করে। তাই এদের জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু বলা হয়। ভাইরাসের একককে ভিরিয়ন (virion) বলে। ভাইরাস এত ক্ষুদ্র যে কেবলমাত্র  রেজোলিউশন (resolution) ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে এরা দৃশ্যমান। 1892 খ্রিস্টাব্দে রুশ বিজ্ঞানী দিমিত্রি আই আইভানোস্কি (Dmitri I. Ivanovsky) তামাক পাতার মোজেইক রোগের কারণ হিসেবে এমন সংক্রমণ বস্তুর কথা উল্লেখ করেছিলেন যা ব্যাকটেরিয়ার থেকেও ছোটো ব্যাকটেরিয়া ফিলটার  দ্বারা পরিস্রুত তরল পদার্থেরও মধ্যে থেকে ওই রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। 1898 খ্রিস্টাব্দে ডাচ্‌ বিজ্ঞানী বেইজেরিনকু (M. W. Bejerinck) প্রথম ‘ভাইরাস’ নামটি প্রবর্তন করেন। ভাইরাস রোগসৃষ্টিকারী অতি ক্ষুদ্র এক বাধ্যতামূলক পরজীবী। নিউক্লিয় প্রোটিন দ্বারা নির্মিত যা কেবলমাত্র পোষককোশে প্রজননক্ষম ।

ভাইরাস আবিষ্কার (Discovery of Virus)

● ক্যারোলাস ক্লুসিয়াস (Carolus Clasius, 1576) টিউলিপ ফুলের পাপড়ির বর্ণবৈচিত্র্য ভাইরাস তা প্রথম ধারণা দেন।

● ড. জেনার (Jenner, 1796) : সর্বপ্রথম ভাইরাস আক্রান্ত বসন্ত রোগের প্রতিরোধক হিসেবে টিকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

● রবার্ট কক্ (Robert Koch. 1876) 3 লুই পাণ্ডুর (Louis Pasteur, 1880) : হাম ,বসন্ত, জলাতঙ্ক, মামস্ ইত্যাদি রোগগুলি যে ভাইরাস আক্রান্ত তা প্রথম ব্যাখ্যা দেন।

● ডি. আই. আইভানোস্কি (D. I. Ivanovsky. 1892) : সংক্রামক তামাক পাতার রস ব্যাকটেরিয়া ফিলটারে পরিস্রুত করে সংক্রমণযোগ্য তরলের সন্ধান পেয়েছিলেন।

●এম. ডব্লু বেইজেরিনক (M. W. Beijerinck. 1896) : সংক্রামিত তরলকে “ভাইরাস’ আখ্যা দেন এবং এই তরলকে সংক্রামক জীবন্ত তরল পদার্থ বলে অভিহিত করেন।

● টাকাহাসি (W. N. Talabashi, 1933)  : তামাক পাতায় মোজেইক রোগের ভাইরাসের আকৃতি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেন।

● স্ট্যানলি (W. M. Stanley, 1935)  : TMV ভাইরাসকে সর্বপ্রথম কেলাসিত করতে সমর্থ হন।

●বডেন (E. C. Bawden) এবং পিরি (N. W. Pirie ):  1937 খ্রিস্টাব্দে ভাইরাসকে ‘সংক্রামক নিউক্লিয় প্রোটিন অণু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

● হাসে ও চেস (Henhey and Chase, 1952) : ব্যাকটেরিওফাজের জেনেটিক মেটিরিয়াল DNA প্রমাণ করেন।

● লিন্ডম্যান (Lindmann, 1957):  পোলিয়র টিকা আবিষ্কার করেন।

● ব্রেনার (Brenner. 1959) :  T2 ফাজ গঠন বর্ণনা করেন।

● সাফারম্যান এবং মরিস (Safferman and Morris, 1963) :  সায়ানোফাজ আবিষ্কার করেন।

● ডিনার এবং রেমার (Diener and Raymer, 1967):  ভাইরয়েড আবিষ্কার করেন।

● গটলিব (Gonleib. 1981) : HIV ভাইরাস আবিষ্কার করেন।

● প্রুসিনার (Pruziner 1982) :  প্রায়োন্স (Priona) আবিষ্কার করেন।