দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস – প্রশ্ন ও উত্তর 

দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস – প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া রইলো দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর । দেখে নাও – মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্র – প্রশ্ন ও উত্তর 1. দ্বিপদ নামকরণে কোন ভাষায় নামকরণ করতে হয়? – ল্যাটিন – ইতালিক – গ্রিক – মার্টিন 2. ব্যাকটেরিয়ার সাইটোপ্লাজমে ভিলাই আকৃতির থলিটির নাম কি? … দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস – প্রশ্ন ও উত্তর  Read More »

দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস – প্রশ্ন ও উত্তর 
দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস – প্রশ্ন ও উত্তর 

দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস – প্রশ্ন ও উত্তর

দেওয়া রইলো দ্বিপদ নামকরন ও জীবের শ্রেনীবিন্যাস সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর । 

দ্বিপদ নামকরণ বা দ্বিপদ নামকরণ কি :

প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব নাম ছাড়াও ডাকনাম থাকে । সেই নামে অন্য মানুষ তাকে না চিনতেও পারে। ঠিক তেমনই কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন আমরা যাকে বলি 'ধান' , ওড়িশায় তাকে বলা হয় 'ধানা' , বিহারে 'চাউল' , মাদ্রাজে 'নিলু' মহেশপুরে 'ভাট্টা' আর ইংরেজিতে প্যাডি।

বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর যদি একটি নাম থাকত তাহলে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিকদের মতবাদ আদান-প্রদানে অনেক সুবিধা হত। 

   জীব সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে এবং জীবের শনাক্তকরণের জন্য প্রতিটি প্রজাতির জীবের একটি করে বৈজ্ঞানিক নামের প্রয়োজন হয়। জীবেদের বৈজ্ঞানিক নাম করনের পদ্ধতি ও নিয়ম সম্বন্ধে ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ক্যারোলাস লিনিয়াস ই-প্রথম দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রচলন করেন। যেমন 'Mangifera indica' হলো আমের বৈজ্ঞানিক নাম। এক্ষেত্রে ম্যাঙ্গিফেরা (Mangifera) হলো আমের গন বা জেনাস। আর ইন্ডিকা (indica) হলো আমের প্রজাতি । 

দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে ? অথবা, দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বুঝায় ? 

আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী অনুযায়ী প্রথমে গণ পরে প্রজাতির পদ যুক্ত করে জীবের নামকরণের পদ্ধতিকেই দ্বিপদ নামকরণ বা binominal nomenclature or binary nomenclature বলে।

দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলী গুলি কি কি ?

অথবা, দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি কি ?

আন্তর্জাতিক সংস্থা ICBN (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ বোটানিক্যাল নোমেনকেচার) ও ICZN (ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন জুলজিকাল নোমেনকেচার) যথাক্রমে উদ্ভিদ ও প্রাণী দের নামকরণের নিয়ম তৈরি করে। 

❖ দ্বিপদ নামকরনের নিয়ম গুলি হল :

উদ্ভিদের নামকরণ প্রাণীর নামকরণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। যেমন 'Mangifera indica' নামটি ছাড়া আর কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী কে দেওয়া যাবে না।

◈ প্রতিটি প্রজাতির একটি মাত্র বিজ্ঞানসম্মত দ্বিপদ নামকরণ থাকবে।

◈ বৈজ্ঞানিক নাম সর্বদা ল্যাটিন ভাষায় হবে।

◈ গণের নামকরণে একটিমাত্র পদ ব্যবহৃত হবে। এবং এর পরের অক্ষর টি বড় হরফে লিখতে হবে। যেমন 'Mangifera indica' এর ক্ষেত্রে 'i' ছোট হাতের হরফে লেখা হয়।

◈ বিজ্ঞানসম্মত নাম বাঁকা হরফে (italics) লিখতে হবে। নতুবা গণ ও প্রজাতি কে পৃথক পৃথকভাবে নিম্নরেখ (underline) করতে হবে।

◈ যে বিজ্ঞানী নামকরণ করেছেন দ্বিপদ নামের শেষে তার পুরো নাম সংক্ষিপ্ত নাম বা নামের আদ্যক্ষর লেখা উচিত। যেমন আমের ক্ষেত্রে তা হবে Mangifera indica Linn.

◈ লিনিয়াসের 'স্পিসিজ প্লান্টারুম' এর প্রকাশকাল অর্থাৎ 1757 সালের আগে কোন উদ্ভিদের নাম গ্রহণযোগ্য হবে না। তেমনি লিনিয়াস এর লেখা 'সিস্টেমা ন্যাচুরি' অর্থাৎ 1758 এর দশম সংস্করন এর প্রকাশকাল এর আগে কোন প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম গ্রহণযোগ্য হবে না।

দ্বিপদ নামকরণের গুরুত্ব কি ?

দ্বিপদ নামকরণের যেসব নিয়মকানুন বলা হল তা থেকে পৃথিবীর যেকোনো দেশের বিজ্ঞানীরা কোন একটি জীবকে একটি নির্দিষ্ট নামে চিনে নিতে পারবেন।

জীবের নামকরণের কোন পরিবর্তন হলে তা তারা জানতে পারবেন।

সেইসঙ্গে বৈজ্ঞানিক নাম জীবের বৈশিষ্ট্য ও একই গণভুক্ত জীবের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক প্রভৃতি নির্দেশ করতে পারবেন।

দেখে নাও – মস্তিস্ক ও স্নায়ুতন্ত্র – প্রশ্ন ও উত্তর

1. দ্বিপদ নামকরণে কোন ভাষায় নামকরণ করতে হয়?
– ল্যাটিন
– ইতালিক
– গ্রিক
– মার্টিন

2. ব্যাকটেরিয়ার সাইটোপ্লাজমে ভিলাই আকৃতির থলিটির নাম কি?
– নিউক্লিওয়েড
– পার্মিয়েজ
– হেপানয়েড
– কনড্রিওয়েড

3. Pila globasa প্রান্তিক কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত?
– আর্থোপোডা
– একাইনোডার্ম
– মোলাস্কা
– প্ল্যাটিহেলমিনথিস

4. সেন্ট্রোপ্লাজম উপস্থিত—–
– ব্যাকটেরিয়া
– মাইকোপ্লাজমা
– সায়ানোব্যাকটেরিয়া
– আরকি ব্যাকটেরিয়া

5. “দ্বিপদ নামকরণ সম্পর্কীত বই “ন্যাচারালিস হিস্টোরিয়া” এর লেখক কে?
– এডলার
– জন রে
– ড্যানিয়েল
– লিনিয়াস

6. নিম্নের কোনটি পাঁচ রাজ্য বিন্যাসের মধ্যে পড়ে না?
– ভাইরাস
– মনেরা
– প্লানটি
– ফানগি

7. Ophicephalus punctatus নিম্নের কোন মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম——-
– ভেটকি
– ল্যাটা
– মাগুর
– শিঙি

8. ইকুইজিটাম হল একপ্রকার—
– ব্যাক্তবীজী
– বায়োফাইটা
– টেরিডোফাইটা
– গুপ্তবীজী

9. নিম্নের কোন গ্রন্থে প্রথম দ্বিপদ নামকরণ প্রকাশ করেন?
– বিবর্তন তত্ত্ব
– স্পিসিস প্ল্যান্টারাম
– ইভোলিউশন মতবাদ
– সিস্টেমা ন্যাচুরি

10. নিম্নের কোনটি গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া?
– ব্যাসিলাস
– সালমোনেলা
– ই. কোলাই
– প্রোটিয়াস

11. ক্যারোলাস লিনিয়াস কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
– ইটালি
– ডেনমার্ক
– ফিনল্যান্ড
– সুইডেন

12. এফিড্রা, নিটাম কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত?
– ব্যক্তবীজী
– গুপ্তবীজী
– বায়োফাইটা
– টেরিডোফাইটা

13. লিনিয়াস কত সালে দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন?
– 1791 সালে
– 1753 সালে
– 1763 সালে
– 1757 সালে

14. ” Viruses are viruses because they are viruses ” উক্তিটি কার?
– আইভানোস্কি
– লউফ
– স্টানলি
– হেপবার্ন

15. বাদামী শৈবালে কোন কার্বোহাইড্রেট টি থাকে?
– ম্যানিটল
– সায়ানোফাইসিয়ান
– ডায়াটমিন
– পাইরিয়ান

16. নিম্নের কোন প্রাণীর ত্রিপদ নামকরন করা হয়েছে?
– গন্ডার
– ভাল্লুক
– সিংহ
– পায়রা

17. পাকসিনিয়া হল একপ্রকার—-
– প্লানটি
– প্রোটিস্টা
– ছত্রাক
– মনেরা

18. সাইকন(sycon) কোন পর্বের অন্তর্ভুক্ত?
– নিমাটোডা
– পরিফেরা
– অ্যানিলিডা
– নিডারিয়া

19. ছত্রাকের অনুসূত্রাকার দেহকে কি বলে?
– মাইসেলিয়াম
– ফ্ল্যাজেলিন
– হাইফি
– স্যাপ্রোটিক

20. কেল্প (kelp) হল—-
– সবচেয়ে বড়ো সবুজ শৈবাল
– সবচেয়ে বড়ো বাদামি শৈবাল
– সবচেয়ে বড়ো নীলাভ সবুজ শৈবাল
– সবচেয়ে বড়ো সোনালী-বাদামী শৈবাল

21. বৈদিক সাহিত্যের কোন বইতে প্রথম শ্রেণিবিন্যাস এর উল্লেখ থাকে?
– ছান্দোগ্য উপনিষদ
– আরণ্যক উপনিষদ
– ঐতেরিস উপনিষদ
– মুন্ডক উপনিষদ

22. কে প্রথম ভাইরাস নামটি প্রবর্তন করেন?
– লুই পাস্তুর
– বেইজেরিঙ্ক
– আইভানোস্কি
– হরসওয়ার্থ

23. লাইকেন, শীতপ্রধান দেশে পাথরের ওপর দেখা দেখা যায়। এদের বলে——
– কর্টিকোলস
– পাইরিকোলস
– স্যাক্সিকোলস
– টেরিকোলস

24. Hibiscus mutabilis নিম্নের কোনটির বিজ্ঞানসম্মত নাম?
– জবা
– বক ফুল
– সূর্যমুখী
– স্থলপদ্ম